মোঃ কামাল হোসেন: রাজধানীতে বেড়েছে চালের দাম। তবে কমেছে টমেটো, আলু, পেঁয়াজ, আদাসহ বেশ কয়েকটি সবজি ও মসল্লার দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম ও অন্য মসল্লার দাম। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের টউন হল কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
নিত্য বাজার নামের মুদি দোকানের বিক্রয়কর্মী শান্ত জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে চালের দাম প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল ৬৫-থেকে ৬৮ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশী (চিকন) মসুরী ডাল ১২০ টাকা, মোটা মসুরী ডাল ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সোয়াবিন তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মত অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে, একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোঃ হানিফ জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা দাম কমে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা প্রতি কেজি। আর সোনালী মুরগি ২৪০ টাকা, দেশী মুরগ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাছ ব্যবসায়ী মোঃ বায়জিদ ও সুমন জানান, গত সপ্তাহের মত আকার ভেদে রুই মাছ ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি মাছ ৫০০ টাকা কেজি, আইড় মাছ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর অন্য মাছগুলোর দাম প্রায় গত সপ্তাহের মত রয়েছে।
অন্যদিকে, সবজি বিক্রেতা তোফাজ্জল, জামাল, দিলু বিল্লাহ জানান, আলুর দাম কমে বিশ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, বেগুন, ৫০ বরবটি ১০০ টাকা, সিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শশা দেশী ৮০ টাকা, খিরাই ও হাইব্রিড শশা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম গত সপ্তাহের মতই অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া মাংস ব্যবসায়ী রাজা কসাই জানান, ভাল মানের গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, মাংস ব্যবসায়ী জাবেদ জানান, খাশির মাংস ৯০০ টাকা, আর বকরির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ডিম বিক্রেতা আরব আলী জানান, গত সপ্তাহের মত ফার্মের মুরগির ডিম ১০৫ টাকা প্রতি ডজন, আর দেশী মুরগির ডিম ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাসে ডিম ১৬০ টাকা প্রতি ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মসল্লা ব্যবসায়ী হিমেল জানান, গত সপ্তাহের মতই অপরিবর্তিত রয়েছে সব রকম মসল্লার দাম। তবে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামে ধস নেমেছে। আদা ৮০-১০০ টাকা, রসুন ৬০-৮০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভ্যানগাড়িতে করে যারা মসল্লা ও সবজি বিক্রি করছেন, তারা বাজারের চাইতে অনেক কম দামে বিক্রি করছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ