নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি। কিন্তু সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে আছি। আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহের প্রভাব বাজারে পড়বে। এসব চ্যালেঞ্জ যাতে বাজারে না আসে, তা মোকাবিলা করতে হবে।
আরও পড়ুন: চলতি সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। সামনে বাজেট। কিভাবে বাজেটে সহায়তা করতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করব।
তিনি বলেন, সরকার সারা বছর পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই নিশ্চিত করতে চায়। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করিা হবে। এছাড়া টিসিবি’র মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন
এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের জবাব দিতে চান না আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ৫ দিন আমি গ্রামে ছিলাম। মাঠে-ঘাটে ঘুরেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি দেখেছি। সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন।
এছাড়া নববর্ষে শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামেও উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি।
আরও পড়ুন: ছুটি শেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালু
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে-বিরোধী রাজনৈতিক দলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে সেখানে উত্তর না দেয়াই ভালো। এর উত্তর জনগণই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি সবার মধ্যেই স্বস্তি দেখেছি। এটা আমার অভিজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, শুধু রমজান না, সারা বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাবো। আমদানি-রফতানি বাজিণ্যসহ লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করবো।
আরও পড়ুন: আবারও বাংলাদেশে বিজিপির ৫ সদস্য
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ সব কিছুর চাহিদা ৩ গুণ বেড়ে যায়। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ভারত থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সঙ্গে আমাদের তেল চিনিসহ আমাদের নিত্য পর্যাপ্ত ছিল। চ্যালেঞ্জগুলো পার হয়ে এসেছি।
চালের বস্তায় দাম লিখে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় আরও ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করবো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা।
গ্রামে বেগুন ৫ টাকা, শহরে এসে ৭০ টাকা হয় কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নটি কৃষি বিপনন অধিদফতর ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমরা কাজ করতে পারি বাজার ব্যবস্থাপনার অংশটুকু নিয়ে। তেল ও চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে, সেগুলোতেই আমাদের নজরদারি থাকবে।
সান নিউজ/এনজে
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            