নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বড়দিন উপলক্ষ্যে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও কালিগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গির্জাগুলোতে ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: শরিকদের নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা নিকটবর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: আমুর সাথে দুই দলের বৈঠক
তিনি বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে সারাদেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে। চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
এছাড়া চার্চগুলোর প্রবেশপথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে, তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসা মাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার ঘটনা সীমিত
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটের দিন সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকাসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না।
খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতসবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে।
আরও পড়ুন: আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত আজ-কাল
এ সময় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার করে কেউ যেন রাস্তাঘাটে জন অসন্তুষ্টির কারণ ঘটাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ২৮-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
সান নিউজ/এনজে