নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকার একটি বাসা থেকে আফিয়া মোর্শেদা চৈতি (৩৬) নামের এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই ওমর ফারুক জানান, আমাদের ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে চৈতি আপা ছিল সবার বড়। তৌহিদ নামে এক ঠিকাদারের সঙ্গে ৩ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। লেট মেরিট হওয়ায় কোনো সন্তান ছিল না তাদের। রাত ১১টার দিকে দুলাভাই ফোন দিয়ে আমাকে জানায় ভেতর দিয়ে দরজা লাগানো আপা দরজা খুলছে না। পরে আমি মিরপুর থেকে বাসায় এসে দেখি আপা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পুলিশ সে সময় উপস্থিত ছিল। আমার আপা ও তার জামাই তার বোনের বাসায় ভাড়া থাকতো। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসার জানায় আপা আর বেঁচে নেই।
আজও পড়ুন: কাল যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
তিনি আরও জানায়, কী কারণে আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে তা জানতে পারিনি। আপা রামপুরা বনশ্রীর ৬ নম্বর রোডের ই-ব্লকের ২৭ নম্বর বাসার ৫ তলায় তার স্বামীর সঙ্গে থাকতো।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে ঐ নারীর গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। পরিবারের অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজও পড়ুন: শান্তিচুক্তি বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞেস করে আমরা জানতে পারি, তাদের কোনো সন্তান না থাকায় মানসিকভাবে ঐ গৃহবধূ কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই কলহ হতো। হয়তো কলহ বিরোধের জের ধরেই আজ এ ঘটনাটি সে ঘটিয়ে থাকতে পারে। এই বিষয়ে গৃহবধূর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
সান নিউজ/এএ