সংগৃহীত ছবি
জাতীয়

যা হবে সংবিধানের মধ্যেই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীতে যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আরও পড়ুন : আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ নিরাপদ

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন হোটেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দেওয়া সংবিধানে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক বানিয়েছেন। এই সংবিধানের ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে সব নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ কিভাবে গঠিত হবে, সরকার কিভাবে গঠিত হবে, নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে তার সব বিধান সংবিধানে সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই

তিনি বলেন, বিগত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। তাই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মাত্র ১০ মাসের মাথায় একটি গণমুখী ও বিশ্বমানের সংবিধান পেলেও এর পেছনের ইতিহাস অনেক বিস্তৃত ও কণ্টকিত। একটি গণমুখী সংবিধান পাওয়ার জন্য তৎকালীন পাকিস্তান আমলে সামরিক ও স্বৈর শাসকদের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন করতে হয়েছে, অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবসময় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছিলেন। দাবি আদায়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত তৈরিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এবং বেনাপোল থেকে তামাবিল পর্যন্ত দিনরাত গণসংযোগ করেছিলেন। তিনি কখনোই জ্বালাও-পোড়াও কিংবা সন্ত্রাসী কায়দায় দাবি আদায়ের রাজনীতি করেননি। পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা তাকে বারবার মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠালেও তিনি কখনোই সহিংস পন্থা অবলম্বন করেননি। অধিকার আদায়ে তিনি অহিংস আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : বিচার হবে বাইডেনের সেই উপদেষ্টার

তিনি আরও বলেন, একইভাবে স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল নিয়মতান্ত্রিক এবং আইনের আওতায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পরের দিনই তিনি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেছিলেন এবং এই সংবিধানের আওতায় তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর একটি স্থায়ী সংবিধান তৈরির জন্য তিনি ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশের আওতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য তিনি গণপরিষদের ৩৪ জন সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। এই কমিটির মাধ্যমে প্রণীত খসড়া সংবিধান দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আজকের দিনে গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল। তাই আজকের দিনটি স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঢাবিতে ‘আগুনমুখা’র নেতৃত্বে ফাহাদ-সামদানী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাকিবিল্লাহ ফাহাদকে সভাপতি ও মু. তানযীম সা...

বড়াইগ্রামে ধান, চাল ও গম সংগ্রহের উদ্বোধন

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে বোরো ধান, চাল ও গম সংগ্...

খাগড়াছড়িতে চোলাই মদসহ নারী আটক

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে...

হরিপুরে একদিনে ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্...

ভালুকায় তিন রাস্তার উদ্ধোধন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকায় ৩টি নবনি...

ভোলায় এলজিইডি’র জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষণ 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় জেলা ও উপজে...

ঢাকার মতো লক্কড়ঝক্কড় বাস কোথাও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সে...

আরও ৫ দিন থাকতে পারে তাপপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবার শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। দেশের ৪টি বিভাগ...

২য় ধাপের শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যা...

কান উৎসবে নজর কাড়লেন ভাবনা

বিনোদন ডেস্ক: কান চলচ্চিত্র উৎসবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা