জাতীয়

মাকে দেখেছি হতাশ হতেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জানি না আব্বা দুইটা বছর একটানা জেলের বাইরে থেকেছিলেন কি না। কিন্তু মাকে দেখেছি কখনও হতাশ হতেন না। সবসময় তিনি ঘর-সংসারসহ সবকিছু সামাল দিতেন।

আরও পড়ুন : বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনাবাহিনী

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট ঘাতকের দল শুধু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আমার মা, ভাই ও তাদের নববধূদের। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

আরও পড়ুন : ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করত। তাদের ক্ষুধার অন্য যোগাতে পারত না। চিকিৎসা পেত না। তাদের থাকার কোনো ঘর ছিল না। এই বঞ্চিত মানুষগুলোর ভাগ্য গড়ে তোলা, এটাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ও সাধনা।

তিনি বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। তিনি একটা সাহস নিয়ে চলতেন।

আরও পড়ুন : বঙ্গমাতা পদক পেলেন ৪ নারী

সরকার প্রধান বলেন, ’৬০ সালে বের হলেন, আবার ’৬২ সালে গ্রেপ্তার হন, ’৬৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন, আবার ’৬৬ সালে। জেলাখানায় মা যখন আব্বার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন বলতেন– তোমার ঘর-সংসার নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না, সেটা আমি দেখব। আব্বা কারাগারে থাকলে দলের কাজও তিনি করতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবার সংগ্রামের ভেতরে ছিল দেশের স্বাধীনতা। এটা পৃথিবীর কেউ না জানুক, মা কিন্তু জানতেন। কারণ, আব্বা মার সঙ্গে সব সময় কথাগুলো বলতেন।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যান চলাচল বন্ধ

তিনি বলেন, আমার মাকেও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মামলায় মাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা পর্যায়ে পাকিস্তানের কিছু নেতা ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আসেন ৬ দফার পরিবর্তে ৮ দফার প্রস্তাব নিয়ে। আমার মায়ের অদ্ভুত স্মরণশক্তি ছিল। তিনি শুনতে এবং জেলখানায় গিয়ে আব্বার কাছে সেই কথাগুলো বলতেন। আব্বা যে নিদের্শনা দিতেন সেটা নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতেন।

তিনি আরও বলেন, আইয়ুব খান আব্বাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে আলোচনা করার কথা বলে। আমার মা সেখানেও বলেন, প্যারোলে না। আইয়ুব খান মামলা প্রত্যাহার করবে। সবাইকে ছেড়ে দেবে। মুক্ত মানুষ হিসেবে যাবে। যখন আব্বা প্যারোলে গেলেন না, আমাদের নেতারা বাড়িতে এসে বললেন, আপনি জানেন? তারা (পাকিস্তানিরা) তো মেরে ফেলবে, আপনি তো বিধবা হবেন। তখন মা বলেছিলেন, আরও তো নেতা আছে, তাদের স্ত্রীরাও বিধবা হবে। আমি একা সধবা থাকার চেষ্টা করব তাদের বাদ দিয়ে? আপনারা একটু চিন্তা করেন, কত দৃঢ় মনোবল ছিল আমার মায়ের।

সান নিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জায়ান হত্যায় এক রশির সূত্র ধরে গ্রেপ্তার প্রতিবেশী

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান রহমান (৭) নামে এক গ্রীস প্রবাসীর সন্তানের হত্যাক...

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রোগ্রামের আওতায় পৌরসভা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের অংশ...

মনোনয়ন নিয়ে দলে বিভাজন, বিএনপির তালিকা সংশোধন এ মাসেই

বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের প...

চোরাচালান অভিযানে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার মাদক জব্দ

ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্প কর্তৃক ১টি চ...

ভোলায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস পালন

“নারীর জন্য রাজনীতি করি, সহিংসতা রোধে একসাথে লড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে...

রাজশাহীতে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরে...

জায়ান হত্যায় এক রশির সূত্র ধরে গ্রেপ্তার প্রতিবেশী

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান রহমান (৭) নামে এক গ্রীস প্রবাসীর সন্তানের হত্যাক...

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কড়াইল বৌবাজার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে...

চোরাচালান অভিযানে ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার মাদক জব্দ

ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্প কর্তৃক ১টি চ...

ভোলায় নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস পালন

“নারীর জন্য রাজনীতি করি, সহিংসতা রোধে একসাথে লড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা