নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারো কারো অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে। সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হবে, বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন: ৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী
নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সম্প্রতি এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তথা সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে।
ইসির পরামর্শ ছাড়া আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের বদলি না করতে এবং ছুটি না দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর ৮৯ বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ ছাড়া উল্লেখিত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা, ছুটি দেওয়া অথবা নির্বাচনী দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত করা যাবে না।
আরও পড়ুন: গুজব রটালে ব্যবস্থা
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। এছাড়া, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর ৩ নম্বর বিধি অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং নির্দেশিত হলে ওই ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী দায়িত্ব পালন বা সহায়তা করতে বাধ্য থাকবে।
সান নিউজ/এসআই