সান নিউজ ডেস্ক : আপিল বিভাগ দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন : ২৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে নৌ-যান ধর্মঘট
আদালত একইসঙ্গে জাতীয়করণ করা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ সময় গণনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধাারণ করতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন।
রোববার (২০ নভেম্বর) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বিপদে পাশে আছে ভারত
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. মোতাহার হোসেন সাজু, সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, নিগার সুলতানা।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।
আরও পড়ুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বের প্রতীক
সংবাদ মাধ্যমকে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৩ সালে সরকার সারা দেশের ২৬১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণ করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণের জন্য বিগত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে ‘অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩’ জারি করেন এবং ওই বিধিমালার ২(গ)-ধারায় কার্যকর চাকরীকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার কথা উল্লেখ্য আছে।
একই বিধিমালার ৯(১)-ধারায় উল্লেখ্য আছে যে ‘কোনো শিক্ষকের নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে এবং ওই তারিখের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগ বিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে ওই শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হবে’ ।
আরও পড়ুন : দ্বিগুণ খাদ্য মজুত আছে
ওই ৯(১)-ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করলে আজ দুই পক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন এবং জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কিত কার্যক্রমে স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন।
সান নিউজ/এইচএন