নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুরে অনুশীলনের সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিজেদের জাতীয় পতাকা ওড়ানোয় এবং বিজয় দিবসে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামকে হকিতে ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৪০ বিশিষ্ট নাগরিক।
এমনই পরিস্থিতিতে দেশের ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি যেমন- বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, ব্যারিস্টার, সাংবাদিক, রাষ্ট্রদূত, অধ্যাপক, ডাক্তার, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা এর প্রতিবাদ স্বরূপ একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
রোববার (২১ নভেম্বর) তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বিসিসির 'নীরবতার' তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমকে অপমান করেছে এবং এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো বটেই; তাদের দেশের সরকারের তরফ থেকেও ক্ষমা ও ভুল স্বীকারের আনুষ্ঠানিক বার্তার জন্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী, হকি ফেডারেশন ও বিসিবিকে তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জ্ঞাপন করেছেন; সেই সঙ্গে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।
এমন ঘটনার দায় সরকার ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এড়াতে পারে না বলে মনে করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
তারা বলেন, এত কিছুর পর আমরা মনে করি না যে স্বাধীন বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনের অধিকার আর তাদের আছে। আমরা ক্রীড়ামন্ত্রী, হকি ফেডারেশন ও বিসিবিকে তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
আমরা মনে করি, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এ আচরণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অপমান করেছে। সুতরাং আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো বটেই, তাদের দেশের সরকারের তরফ থেকেও ক্ষমা ও ভুল স্বীকারের আনুষ্ঠানিক বার্তা আশা করছি।
বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য এরমা দত্ত, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান, জেনারেল হারুনুর রশিদ, আবেদ খান, রামেন্দু মজুমদার, জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, জেনারেল আব্দুর রশিদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গোলাম কুদ্দুস, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
আরও হলেন ওয়ালিউর রহমান, অধ্যাপক শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, আতিউর রহমান, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, জেড আই খান পান্না, মফিদুল হক, অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সারওয়ার আলী, কাজী মুকুল, আসিফ মুনীর, কবীর চৌধুরী তন্ময়, ক্যাপ্টেন শাহাব (বীর-উত্তম), অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী শম্পা, কামাল পাশা চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ ও রাসেদ চৌধুরী।
সান নিউজ/এফএইচপি