জাতীয়

বাংলাদেশের অস্থান স্পষ্ট, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত

সাননিউজ ডেস্ক: ঢাকার অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ‘বাস্তুচ্যুত মানুষ’ হিসেবে দেখছে। বিশ্ব ব্যাংক (ডব্লিউবি) বিভিন্ন দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের একত্রিত করার জন্য একটি বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে শরণার্থী নয়, তারা নির্যাতিত এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ, তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা তার অবস্থানে অটল রয়েছে যে নির্যাতিত জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের মূল ভূখণ্ডে ফিরে যেতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আমাদের অগ্রাধিকার। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের একত্রিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং ঢাকা বিশ্বাস করে তাদের ‘উন্নত ভবিষ্যৎ’ তখনই সম্ভব হবে যখন তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

সম্প্রতি, ডব্লিউবি শরণার্থীদের আশ্রয়দানকারী ১৬টি দেশের জন্য ২০ বিলিয়ন টাকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তার শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কাঠামোর অংশ হিসাবে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে এই প্রস্তাব বিনিময় করে বলেছে যদি সরকার বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের নাগরিকের মতো সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অধিকারের সঙ্গে একত্রিত করে তবে ঢাকা তাদের নতুন কর্মসূচি থেকে তহবিল পেতে পারে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে ঢাকার অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু সমন্বয় করা হতে পারে।

তিনি বলেন, যদি বিশ্ব ব্যাংক ঢাকার ‘প্রত্যাবাসনে (রোহিঙ্গা) আমাদের নিজস্ব অবস্থান’ এর সঙ্গে মিলে না এমন সমস্ত ধারণা বাদ দেয়ার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয় তবে ডব্লিউবি ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পর সেখান থেকে এসেছে। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধনের সুস্পষ্ট উদাহরণ’ এবং একে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে।

গত প্রায় চার বছর মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও একজন রোহিঙ্গাও এখন পর্যন্ত দেশে ফিরে যায়নি।

সাননিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি পেছাল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্য...

খাতিরের ঠিকাদারকে কাজ দিতে ডিএনসিসির দরপত্রে ‘কারসাজি’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বাতি স্থাপনের কাজ ‘খাতিরের’...

মেসি ফিরলেন, গোল করলেন, দলকেও জেতালেন

পুরো ম্যাচ খেলেননি, বদলি নেমে মাঠে ছিলেন ৪৫ মিনিট। ম্যাচের এই অর্ধেক সময়েই ব্...

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফই বলেছিলেন নির্বাচন করতে, দাবি ফারুকের

সরকারের ‘পছন্দে’র মানুষ হিসেবে ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড...

বিদেশের বাংলাদেশি সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলে...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা