জাতীয়

রূপগঞ্জের কারখানায় পাঁচ-ছয়তলায় অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে ৮ জুলাই সন্ধ্যায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) ভবনটির পাঁচ ও ছয়তলায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টা থেকে অভিযান শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। প্রিয়জনের এমন মৃত্যুর খবরে গ্রামে গ্রামে চলছে শোকের ছায়া। আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। নিহতদের মৃতদেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন স্বজনরা।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে সংসারের ঘানি টানতে চাকরি নেয় নারায়ণগঞ্জের কারখানাটিতে নাজমুল । মোবাইল ফোনে কয়েক দিন পরই ঈদের বেতন নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা জানায় মাকে। কিন্তু কে জানতো, আপনজনরা আর দেখতে পাবে না এই শিশুটিকে।

নাজমুলের বাবা বলেন, সংসারে একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি ছিল নাজমুল। তাকে হারিয়ে পরিবারটি এখন নিঃস্ব।
নাজমুলের মতোই রূপগঞ্জে কারখানায় আগুনে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার নিহতদের বাড়িতে চলছে এমনই মাতম। কটিয়াদী উপজেলার জুবেদা বেগমের দুই মেয়ে কারখানায় চাকরি নেন। রূপগঞ্জের আগুনে মারা গেছেন ছোট মেয়ে। এমন খবরে যেন পাথর হয়ে গেছেন তিনি।

এর আগে গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভবনে আটকা পড়ে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দেরি হওয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। শুক্রবার বেলা ১১টার থেকে সাড়ে ১১টায় পর্যন্ত প্রায় আধা ঘণ্টা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষ চলাকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে তিনটি শটগান লুট করে। পরে দুটি উদ্ধার হলেও একটি এখনও উদ্ধার হয়নি।
এ ছাড়া রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান, জেলার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা