নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহ থেকে আবারো শুরু হয়েছে 'নাগরিক তথ্য সংগ্রহ পক্ষ'। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অপরাধের সাথে রাজধানীর ভাড়াটিয়াদের দেয়া তথ্যের গরমিল পাওয়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র বলছে, এবার সিটিজেন ইনফরমেশন দেওয়া তথ্যে বাসিন্দার পেশাও যাচাই করছে পুলিশ। কোনও ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তিগত ফর্মে চাকরিজীবী লেখেন, তবে তিনি আদৌ চাকরি করছেন কিনা তা সরেজমিনে যাচাই করা হবে। পুলিশ মনে করছে, সাধারণত অপরাধীরাই তাদের পেশা গোপন করে।
২০১৫ সাল থেকে ঢাকা মহানগর এলাকায় শুরু হয় বিট পুলিশিং প্রথা। অপরাধ ব্যবস্থাপনার জন্য নানাবিধ তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে মহানগরে বসবাসরত বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম। তথ্যের বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুত করা হয় সিআইএমএস। যার যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
২০১৯ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত সিআইএমএস সফটওয়্যারে বাড়ির মালিক ছিলেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন। ভাড়াটে ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪, মেসের সদস্য ১ লাখ ২১ হাজার ৪০, অন্যান্য ১ হাজার ১০০ জন। পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১, চালক ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন। মোট ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংরক্ষিত আছে।
এই সিস্টেমে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেক্স নম্বরও রয়েছে। ওই নম্বর দিয়ে সিস্টেমে সার্চ দিলে কাঙ্ক্ষিত নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য জানার ব্যবস্থা রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত সকল নাগরিকের তথ্য 'সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস)'-এ অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে 'নাগরিক তথ্য সংগ্রহ পক্ষ'। যা চলবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সান নিউজ/এসএস