বিজ্ঞান

বিজ্ঞানীরা ৬৭ লাখ শুক্রাণু নমুনা পাঠাতে চান চাঁদে

সান নিউজ ডেস্ক : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতি খরা, গ্রহাণুর আঘাত, পারমাণবিক যুদ্ধ এমন সব ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে পৃথিবীতে। এর ফলে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাইরে মানুষে জীবন সংরক্ষণ করার বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।

পৃথিবীর বাইরে, মহাশূন্যে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবশ্যই জীবনকে টিকিয়ে রাখতে হলে মানবজাতিকে তার দৃষ্টি দিতে হবে মহাকাশ ভ্রমণের দিকে। তাই কিভাবে পৃথিবীর বাইরে জীবনকে সংরক্ষণ করা যায় বা নতুন করে জনসংখ্যার বিস্তার ঘটানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

শনিবার (১৩ মার্চ ) জমা দেওয়া রিপোর্টের শিরোনাম ‘লুনার পিটস এন্ড লাভা টিউবস ফর এ মডার্ন আর্ক’। জেকান থাঙ্গা বলেছেন, পৃথিবী পরিবেশ প্রাকৃতিকভাবে পরিবর্তনশীল। এই গ্রহের অস্থিতিশীলতার কারণে পৃথিবী ভিত্তিক প্রজনন ব্যবস্থার সংরক্ষণ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব এ্যারিজোনার বিজ্ঞানী জেকান থাঙ্গা এ বিষয়ক গবেষণাকর্মের লেখক। তিনি ও তার টিম এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বার্ষিক ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স এরোস্পেস কনফারেন্সে।

বিজ্ঞানীরা এ প্রক্রিয়ায় চাঁদের বুকে শুক্রাণু ব্যাংক বা স্পার্ম ব্যাংক গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। একে তারা আধুনিক বৈশ্বিক ইন্স্যুরেন্স পলিসি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাব করেছেন যে, মানব প্রজননে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু কোষের একটি সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার। পৃথিবী থেকে মানুষসহ অন্যান্য প্রজাতির ৬৭ লাখ প্রাণির দেহ থেকে এসব সংগ্রহ করে তা চাঁদে সংরক্ষণ করার কথা বলা হচ্ছে। এই সংরক্ষণাগার থাকবে চাঁদের পৃষ্ঠের নিচে।

তাই যেভাবে কোনও উদ্ভিদের বীজ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয়, তেমনি মানব ও অন্যান্য প্রাণীকে চাঁদে নিয়ে তা সংরক্ষণ করতে চান জেকান থাঙ্গা। তার মতে, তা যতটা তাড়াতাড়ি করা সম্ভব ততই ভাল। সম্প্রতি চাঁদের গায়ে যে কূপ বা পিট আবিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে প্রজনন কোষকে সংরক্ষণ করতে চান বিজ্ঞানীরা।

সেইসব কূপ থেকে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন শত শত বছর আগে লাভা উদগীরণ হয়েছিল। বৈশ্বিক বিপর্যয়ের নানা পর্যায়ে চাঁদের পৃষ্টে নানা রকম প্রজাতির প্রজনন সেল সেখানে নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষিত থাকবে। এমন প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রাইওজেনিক্যাল।

থাঙ্গা বলেন, অনেক বৃক্ষ এবং পশুপাখি এরই মধ্যে মারাত্মকভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ৭৫০০০ বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার তোবা পাহাড়ের উৎগীরণকে একটি উদ্বেগজনক কারণ হিসেবে মনে করা হয়। তিনি বলেন, এর ফলে এক হাজার বছরের জন্য একটি শীতল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মানুষের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে আরও অনেক ফ্যাক্টর, যা এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় না।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির ৫ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাই ট...

প্রকৃতি ও পানির প্রতি আমাদের সদয় হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন...

সীমানা পুনর্নির্ধারণে শুনানি ২৪-২৭ আগস্ট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আগা...

এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নোটিশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্...

যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে ক্রিমিয়ার আশা ছাড়তে হবে, ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জে...

বনানির সিসা বারে রাব্বি হত্যায় দোষ স্বীকার করে মুন্নার জবানবন্দি

ঢাকার বনানী এলাকার ‘সিসা বারে’ ছুরিকাঘাতে রাহাত হোসেন রাব্বি হত্য...

সিলেটে একদিকে উদ্ধার, অন্যদিকে চলছে হরিলুট

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাটের পর প্রশাসনের কঠোর অভিযানে উদ্...

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য সহায়তা করবে বলে জা...

ডাকসু তে ২৮ পদে লড়তে চান ৬৫৮ প্রার্থী, 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে...

নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী

দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা