জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সুপারিশে তীব্র মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপি বলছে, কমিশনের প্রতিবেদনে অসংগতি ও অনৈকমত্যপূর্ণ প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলছে, সুপারিশগুলো ইতিবাচক এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ মঙ্গলবার পৃথক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো কখনো আলোচিত হয়নি বা তাতে ঐকমত্য হয়নি। তাদের অভিযোগ, মূল প্রতিবেদনে ভিন্নমত বা আপত্তির কোনো উল্লেখ রাখা হয়নি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আসলে জাতীয় ঐকমত্য নয়, বরং জাতীয় অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।”
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা কমিশনের সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। অবিলম্বে সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে এবং আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের মাধ্যমে এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে।”
তবে গণভোটের সময়সূচি ও পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতও কিছু শর্ত দিয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “১৮ দফার মধ্যে গণভোট নির্বাচনের আগে করতে হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোটাররা সঠিকভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পারবে না, এতে জটিলতা তৈরি হবে।”
ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনে প্রস্তাব করা হয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি “সংবিধান সংস্কার পরিষদ” গঠন করা যেতে পারে। বিএনপির অভিযোগ, এ ধারণাটি কমিশনের আলোচনায় কখনো উত্থাপিত হয়নি, তাই এটি সংযোজন করা অনভিপ্রেত।
সাননিউজ/এও