আহমেদ শাহেদ: চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হয়ে যায়। এ প্রবাদ বাক্যটি আসলেই যে সত্য তা আবারও প্রমাণ করলো চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা। গত ৫ সেপ্টেম্বর ছিল চাঁদপুরের প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠক, সংগীত গুরু ও চাঁদপুর ললিতকলার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী প্রয়াত শীতল ঘোষালের ১৪তম পরলোকগমন দিবস।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
প্রয়াত শীতল ঘোষাল ছিলেন, চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের এক উজ্জল নক্ষত্র। এ নক্ষত্রটি সাংস্কৃতিক অঙ্গণের আকাশ থেকে ঝরে যাওয়ার পর চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা আজ তাকে ভুলতে বসেছে। তার ১৪তম পরলোকগমন দিবসে পারিবারিক কিছু আয়োজন ছাড়া শিল্প সংস্কৃতির জগতে কোন ধরণের, কোন আয়োজন ছিল না।
চাঁদপুরের অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকা স্বত্বেও কেনো এই প্রখ্যাত সংগীত গুরুর ১৪তম পরলোকগমন দিবসটি পালন করা হয়নি। এ ধরণের প্রশ্নের উদ্রেক ঘটিয়েছে চাঁদপুরের সংস্কৃতি প্রেমিদের মনে।
আরও পড়ুন: ট্রাসের মন্ত্রিসভায় অশ্বেতাঙ্গ আধিপত্য
অথচ ২০০৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে যখন এ সংগীত গুরু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তখন চাঁদপুরের প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিটি কর্মীর চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। তখন মনে হয়েছিল এই সংগীত গুরু চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক আকাশ থেকে কখনোই মুছে যাবে না। তাহলে কি সেদিনের সেই অশ্রুসিক্ত নয়ন ছিল শুধুই লোক দেখানো।
আজ এ সময়ে যাদের বলিষ্ঠ পদচারনায় চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে রয়েছে। তারাও হয়তো একদিন এ সংগীত গুরুর মতো পরলোকে গমন করবেন। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব, এটাই পৃথিবীর নিয়ম। এ নিয়ম ভাঙ্গার কারো সাধ্য নেই। সেদিন হয়তো প্রয়াত সংগীত গুরু শীতল ঘোষালের মতো সবাই ভুলে যাবে আপনাদের। তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিভিন্ন দাবি আদায়ের আন্দোলনের জোয়ারে নিজেদের গা না ভাসিয়ে আসুন আমরা আমাদের অগ্রজদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
লেখক: আহমেদ শাহেদ, গণমাধ্যমকর্মী ও ফ্রিল্যান্স ভয়েস আর্টিস্ট।