সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া শিগগিরই বেলারুশকে অত্যাধুনিক ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন: কমছে ভোজ্যতেলের দাম
সাধারণ ওয়ারহেডের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে শনিবার (২৫ জুন) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন পুতিন।
এ অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হলে ইউরোপের বহুদেশ ও সেসব দেশে মোতায়েন করা মার্কিন ঘাঁটিগুলো এ ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আসবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী' করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পুতিনের এ বক্তব্যকে প্রথম প্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে।
পুতিন আরও বলেন, মস্কো বেলারুশের সুখোই-২৫ জঙ্গিবিমানের আধুনিকায়ন করে এগুলোকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম করে তুলবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর পাশ্চাত্যের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কে যে উত্তেজনা দেখা দেয় তা সাম্প্রতিক সময়ে বহুগুণে বেড়ে গেছে।
গত চার মাসে পুতিন বহুবার তার দেশের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি যদিও পশ্চিমা দেশগুলোকে সরাসরি পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দেননি; কিন্তু তিনি এর মাধ্যমে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে পাশ্চাত্যকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইইউর সদস্যপদ পেতে ‘আনুষ্ঠানিক প্রার্থী' করার সিদ্ধান্ত নেন। কিছু সংস্কার এনে ইউরোপীয় মানে পৌঁছাতে পারলে দেশ দুটি পূর্ণ সদস্য হতে পারবে। এতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে ৷
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে