সান নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর বিশ্বে একাধিক দুর্ভিক্ষের ‘প্রকৃত ঝুঁকি’ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৪ জুন) খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে সংস্থাটির প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে রোববার
তিনি খাদ্য বাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং পণ্যমূল্যের অস্থিরতা কমাতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্লিনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভিডিও বার্তায় গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা একটি নজিরবিহীন বৈশ্বিক ক্ষুধা সংকটের মুখোমুখি। ইউক্রেনের যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করেছে : জলবায়ু পরিবর্তন; করোনা মহামারি; অত্যন্ত অসম পুনরুদ্ধার।’
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) নির্ধারণ করা মাত্রা সোমালিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানে চার লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। এই মাত্রাটি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা ও সাহায্য গোষ্ঠীগুলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করে। একটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ঘোষণার আগে পদক্ষেপ হচ্ছে এটি।
আইপিসি অনুসারে, আরও ৩৪টি দেশের লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে৷
গুতেরেস বলেছেন, ‘২০২২ সালে একাধিক দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার মতো বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে। ২০২৩ সাল আরও খারাপ হতে পারে।’
তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বব্যাপী গম রপ্তানির প্রায় ২৯ শতাংশ উৎপাদন করে। দেশ দুটির বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার উপায় খুঁজে না পেলে সঙ্কটের কোনও কার্যকর সমাধান হতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাঙালি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে