আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনায় হয়েছেন কর্মহীন। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। এ অবস্থা থেকে কিছুটা অর্থসংগ্রহ করতে গাড়ির ছাদে সবজি চাষ করেছেন থাইল্যান্ডের গাড়িচালকেরা। সেই বাগানে ফুটছে বিচিত্র ফুল, ফলছে শাকসবজি, ফল।
থাই গাড়িচালকদের এই বিচিত্র উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। সেখানে বলা হয়, পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এমনিতেই অলস সময় পার করছিলেন তাঁরা। বিধিনিষেধের কারণে সেই অলস সময়টা দীর্ঘায়িত হচ্ছিলো। লকডাউনে গাড়ির চাকা যখন ঘুরছিলো না তখন ট্যাক্সির ছাদেই বাগান করেন তাঁরা।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির গাড়িচালকদের দুটি সমবায় রেতচাপরুক এবং বোভর্নের চালকেরা সীমিত চলাচল শুরু করার পরও চলতি বছর খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিলেন না। যাত্রীরা কম ভাড়া দাবি করায় সংকট আরও বেড়ে যায়। চার্জ অর্ধেক কমিয়ে এনে ৯ দশমিক ০৯ ডলার করার পরেও যানবাহনের জন্য দৈনিক অর্থ প্রদানের সামর্থ্য ছিলো না অনেকের। ফলে সমবায়ের পার্কিংয়ের জায়গায় দীর্ঘ সারিতে গাড়ি রেখে চলে গেছেন তাঁরা। মহামারির কারণেও অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর অনেকে বিভিন্ন গ্যাস স্টেশনে গাড়ি রেখে চলে যান অন্যত্র। এতে করে চালকদের পাশাপাশি ঋণের চাপে পড়ে সমবায় দুটি। সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে দারুণ এক উদ্যোগ নেন সমিতির লোকজন। পার্কিংয়ের জায়গায় অলসভাবে পড়ে থাকা ট্যাক্সিগুলোতে ছোট করে বাগান বানিয়ে ফেলেন। আর ‘ছাদ বাগান’ নামের চিরায়ত টার্মের নতুন রূপ দেয়। চালক আর এখানকার কর্মীরা শুরু করেন পরিচর্যা।
ছাদের মাপ নিয়ে প্রথমে বাঁশের কাঠামো বানানো হয়। এরপর প্লাস্টিক ব্যবহার করে বসাতে থাকেন ছোট ছোট ব্যাগ। আর সেই ব্যাগের ওপরই মাটি রেখে চাষ করতে শুরু করেন টমেটো, শসা এবং শিমজাতীয় বিভিন্ন সবজি। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হবে সবুজের গলিতে হেঁটে যাচ্ছেন। আয়ের অন্যতম উৎস হওয়ার পাশাপাশি সবুজায়নে যা এখন অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করছে।
সান নিউজ/এফএআর