আন্তর্জাতিক

দশকের উষ্ণতম বছরের একটি হতে যাচ্ছে ২০২০

সান নিউজ ডেস্ক : পৃথিবীর ইতিহাসে উষ্ণতম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২০ সাল। এ বছরে গড় তাপমাত্রা প্রাকশিল্প (১৮৫০-১৯০০) স্তরের উপরে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) মহাসচিব অধ্যাপক পেতেরি তালাস বলেছেন, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২০২৪ সালের মধ্যে প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়েও ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ডব্লিউএমওর ২০২০ সালের জলবায়ুবিষয়ক প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উষ্ণতম সময়কাল ছিল। এছাড়া এই ৬ বছরসহ ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এক দশক ছিল সবচেয়ে উষ্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। ২০২০ সালের তাপমাত্রা ওই দুই বছরের কাছাকাছি।

প্রতিবেদনটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের তাপমাত্রার তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। জলবায়ুবিষয়ক এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আগামী বছরের মার্চে প্রকাশ করা হবে।

অধ্যাপক পেতেরি তালাস বলেন, স্থল ও সমুদ্র বিশেষ করে আর্কটিকের তাপমাত্রা নতুন করে চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া, সাইবেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ও দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃত অঞ্চল দাবানল গ্রাস করেছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আটলান্টিকে রেকর্ড পরিমাণ হারিকেন আঘাত হেনেছে। গত মাসেই মধ্য আমেরিকায় পরপর ৪টা হারিকেন আঘাত হানে। আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার ফলে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং কয়েক লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে।

সবচেয়ে লক্ষণীয় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশেষ করে সায়বেরিয়ান আর্কটিকে গড় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালের পর ২০১৯ সালে সমুদ্রের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া একটা পরিবেশ নষ্টের সুস্পষ্ট সঙ্কেত। ২০২০ সালে সমুদ্রের গড় তাপমাত্রা ২০১৯ সালের মতোই। গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্বের ফলে জলবায়ু ব্যবস্থায় অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ শক্তি জমে আছে।

এদিকে চলতি বছরে ঘূর্ণিঝড়ও অনেক বেশি হয়েছে। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে ৯৬টি ঘূর্ণিঝড়। গত মে মাসে ভারতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঘড় আম্ফান। এটি গত ২৫ মে পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি আছড়ে পড়ে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারত।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন বলছে, ভারত-বাংলাদেশে আঘাত হানা আম্ফান উত্তর ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ছিল। এতে ভারতের প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ইউক্রেনে এক রাতে ৬০০’র বেশি ড্রোন-মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া

রাশিয়া এক রাতে ইউক্রেনের দিকে ৫৭৪টি ড্রোন ও ৪০টি মিসাইল ছুড়েছে—যা সাম্প...

‘১% মিডিলম্যান, ৫% মিনিস্ট্রির’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সেক্রেটারির বিরুদ...

ভাত না জোটার দেশে হাঁসের মাংসবিলাস শোভনীয় নয়: আলাল

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দুই...

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা মামলার সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে...

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ অনুমোদন

‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নীতিগত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা