আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ইতিমধ্যে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। এর প্রভাবে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট এবং পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিন্ধের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পশুবাহী গাড়ি থামানো যাবে না
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের গুজরাটের কুচ ও সৌরাষ্ট্র বিভাগে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
তবে এটি পাকিস্তানের করাচিতে সরাসরি কোনো আঘাত হানবে না।
আরও পড়ুন : প্লাস্টিকের বিকল্প বাড়ানোর আহ্বান
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুজরাটের উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অরেঞ্জ এবং ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সিন্ধ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : জাপানে গুলিতে ২ সেনা নিহত
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সর্বশেষ তথ্যে বলছে, ক্যাটাগরি-৩ এর ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’-এর প্রভাবে উপকূলে ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে বাতাস বইতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাটের কুচ, দেবভূমি দরগা এবং জামনগরে অতিবৃষ্টি হতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরেই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : কয়লা নিয়ে জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রে
দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় এটি তাদের কেটি বন্দরে আঘাত হানতে পারে।
গতকাল বুধবার (১৪ জুন) ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছেন তারা। ঝড়টি সরাসরি করাচিতে আঘাত হানবে না। কিন্তু এটির প্রভাব কেমন হবে, সেটি আজ পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব ধরনের ছোট বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আজ থেকে বেসামরিক বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খবর : এনডিটিভি, জিও নিউজ
সান নিউজ/এনজে