নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের রিক্ততা শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ফাল্গুনের বাসন্তী আবহে কিছুটা শীতের পরশে এবারের বসন্ত বরণ। ভালোবাসা দিবসের লাল মিলেমিশে মাথামাখি এক বসন্ত। বাংলা বর্ষপঞ্জি সংশোধনের পর গত দুই বছর ধরে একই দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বসন্ত উৎসব আর ভালোবাসা দিবস।
তীব্র শীতের কঠিন সময় পেরিয়ে প্রকৃতি যখন ডানা মেলে সেই আয়োজনকে বিভিন্ন দেশেই বরণ করে নেওয়া হয়। আমরা রঙিন পোশাকে বসন্তবরণ করি। সাধারণত বাসন্তী, হলুদ, লাল পোশাক পরে এদিন উৎসব করা হয়। এছাড়াও পাশের দেশ ভারতে সাদা পোশাকে বসন্ত বরণ করা হয়। চেরি ব্লসম ফেস্টিভ্যাল জাপানের বসন্ত উৎসব। এই সামাজিক যোগাযোগের যুগে বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের বসন্তের রাজ্যে বিচরণ করার ছবি এখন আমাদের সবারই চেনা।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ভালোবাসা দিবস। প্রচলিত ইতিহাস হলো- রোমের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমিক এবং খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা করতে অস্বীকার করলে তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খ্রিস্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। সেই থেকেই দিনটির শুরু।
আরও পড়ুন: বসন্তরে মনোরম সাজ
এদিকে বরাবরের মতোই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দুই দিন পালন করা হবে রাজধানীতে। বসন্ত উপলক্ষে নগরবাসীর প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার বটতলা প্রাঙ্গণ।
সাননিউজ/এমএসএ