নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তিন ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) প্রথম ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আইডিয়ালের ছাত্রীর মৃত্যু
সোমবার (১৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আমরা প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চাই। যদি তিন ধাপের পরীক্ষা শেষ নাও করা যায়, অন্তত প্রথম ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষাটা নিতে চাই। এ লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি চলছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আরও বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বুয়েটসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামতও পাওয়া গেছে। শিগগির পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন : স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটের মাধ্যমে আগের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়নি। ঝুঁকিও ছিল না। দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হয়েছিল। তাই এবারও বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বুয়েটের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে। এরপর রোববার (১৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এখন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির একটি সভা ডাকা হবে। সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য সহকারি শিক্ষকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।
আরও পড়ুন : ফের নোবিপ্রবির ভিসি দিদার-উল-আলম
এরপর গত ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ আবেদন জমা পড়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক অবসরে যান। ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পর গত বছর ডিসেম্বর পযন্ত ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য হয়। এসব শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিভাগভিত্তিক পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ