আদিল সরকার, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে চলছে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ। যেখানে পাঁচটি রড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে রাতের আধারে অনুমোদনহীন একটি নতুন রড নিয়ে আসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে সেই রড ব্যাবহারে বাধা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রয়ার দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক এলাকা সংলগ্নে একাডেমিক ভবনের কাজ পায় মাইশা ও হোসাইন কনস্ট্রাকশন গ্রুপ। এই একাডেমিক ভবনের কাজের জন্য ৫টি কোম্পানির রডের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে অনুমোদনহীন এসএস টাইগার রড নিয়ে আসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এই রড আনতে আগে থেকেই নিষেধ ছিলো বলে জানিয়েছেন প্রকৌশল অফিস। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে নতুন করে রড নিয়ে আসার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে তদারকি করতে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় ঠিকাদারদের সাথে তদের বাককিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে রডটি রেখে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে টেস্ট করিয়ে ব্যবহার উপযোগী হলে তা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহীদ উদ্দীন মো. তারেক।
তিনি বলেন, ‘অনুমোদনহীন রডটা দিয়ে আপাতত কাজ করা হচ্ছেনা। ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেটা টেস্ট করানো হবে। টেস্ট রিপোর্ট ওকে হলে অনুমতি দিতে হবে। তখন আমাদের বাধা দেয়ার কিছু থাকবে না।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এই ঘটনার কারণে ঠিকাদারকে জবাদিহির আওতায় আনা হবে। রডগুলো কোন ভাবেই কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’
সান নিউজ/এমকেএইচ