জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা সাইফুল ইসলামের (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে এই কারাদণ্ডাদেশ দেন পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বি. এম তারিকুল কবির। একই সাথে (৫০,০০০) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ফের বন্যার শঙ্কা
দণ্ডপ্রাপ্ত বাবা, পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও লাকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে।
এ সময় জানা যায়, ২০২৩ সালের (১৮ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করে। এরপর তদন্তে নামেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। এর পরে তদন্ত শেষে গত (২৮ মার্চ) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তার পরে সোমবার এই সাজার দণ্ডাদেশ দেয় আদালত।
মামলা বলা হয়, নিজ মেয়ের ধর্ষণের মামলার বাদী হয়েছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের ১ম স্ত্রী। তাদের সংসারে ৫ সন্তান থাকা সত্ত্বেও ২য় বিয়ে করেন বাবা সাইফুল। এই ঘটনায় গত বছরের আগস্ট মাসে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাদের বিচ্ছেদের পরে মেয়ে ও ২ ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ভারী বৃষ্টির আভাস
গত বছরের (২১ সেপ্টেম্বর) চাচতো ভাইয়ের বিয়েতে বাবার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী মেয়ে। এ সময় বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে মেয়ে। এরপর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৩দিন পরে (২৪ সেপ্টেম্বর) মেয়েটির সৎ মা কোথাও বেড়াতে গেলে এই সুযোগে বাবা তার ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করেন। তার পরবর্তীতে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এর পরে ভুক্তভোগী মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।
এই রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করা করবো।
সান নিউজ/এমএইচ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            