জহিরুল হক মিলন, ফেনী: শীত আগমনের সাথে সাথে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে রোগীর পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণের অধিক।
এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের অসুস্থতার হার অনেক বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, মৌসুমি রোগের মধ্যে সর্দি-কাশি জ্বর, ডায়রিয়াসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই। তার সাথে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে হাসপাতালে বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীর পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশির পাশাপাশি শাসকষ্ট সহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পরিমাণ বেড়ে গেছে। সচেতনতা তৈরি করতে পারলেই রোগের পরিমাণ অনেক কমে আসবে।
অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীসহ সবাইকে পর্যাপ্ত শীত ও ধোঁয়া-ধুলাবালি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেডিসিন বিভাগে ২৬ শয্যার বিপরীতে ৭৮ জন এবং মহিলা মেডিসিন বিভাগে রয়েছে ৮৪ জন রুগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নুরুল আবসার মামুন জানান, এ সময়ে শিশুরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর ডায়রিয়া সহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সচেতনতাই পারে রোগের হার কমিয়ে আনতে। এক্ষেত্রে এক থেকে ৬ মাসের শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের দুধ এবং ৬ মাস থেকে ২বছরের শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী খাদ্য সামগী খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়।
নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকতে শিশু এবং মায়েদের যাবতীয় ধোঁয়া ও ধুলাবালি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। হাসপাতাল শিশু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২৬ শয্যার শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে ৮৫ জন শিশু।
সান নিউজ/এনকে