খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে লতিফুর রহমান বিজ্ঞান শিক্ষাবৃত্তি ২০২২ এর মাধ্যমে উপজেলার ৪জন মেধাবী এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রদান করা হয়।
২৬ জুন (রবিবার) উপজেলার ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর ৪জন মেধাবী এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রদান করা হয়। শিক্ষাবৃত্তির অর্থ প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহী উদ্দিন, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
জরিপ বিভাগের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ওমর আলী খাসনবিশের পুত্র মো: লতিফুর রহমান ১৯৫২ সালের ১ আগস্ট ভূঞাপুর উপজেলার আলোয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ৬টি লেটার মার্ক, ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ৫টি লেটার মার্ক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর করেন। পরে বাবার ইচ্ছেতে তিনবার বিসিএসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন।
তিনি তাঁর কর্মজীবনে বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারি অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব, গভঃ প্রিটিং প্রেসের পরিচালক ও আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮২ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এডভোকেট আফসার উদ্দিন আহমেদের কন্যা ড. আফরোজা পারভীনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ড. আফরোজা পারভীনের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। ২০১৪ সালের ৯জুন ডায়াবেটিস জটিলতা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপবৃত্তি প্রদান ও মো: লতিফুর রহমানের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহী উদ্দিন বলেন, তিনি আমাদের ভূঞাপুর তথা দেশের গর্ব ছিলেন। তিনি একাধারে মেধাবী ছাত্র, একজন সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও লেখক ছিলেন। তাঁর স্মরণে এই শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে আরো অনেক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী তাঁর অনুকরণীয় হিসেবে দেশে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করবে।
সান নিউজ/এনকে