নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বোরো ধানের ফলন বাড়ানোসহ একযোগে কর্তন করার লক্ষ্যে সমলয় চাষাবাদের জন্য ট্রে পদ্ধতি বীজতলা তৈরি করছে কৃষকরা। এসময় ট্রে পদ্ধতিতে বীজ তলার শুভ উদ্বোধন করে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে দেখা গেছে এ বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র।
এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল খালেক উপস্থিত থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছিলেন।
জানা যায়, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি মন্ত্রনালয়ের প্রণোদনার কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে বীজতলা তৈরি শুরু করছে। মাটিভর্তি ট্রে-তে বপন করছে আলফা-২ হাইব্রিড জাতের ধানবীজ।
ভবানীগঞ্জ ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল খালেক বলেন, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে ভবানীগঞ্জ ব্লকে ৫০ একর জমির জন্য বীজতলা তৈরির লক্ষামাত্রা নেয়া হয়েছে।
সমলয় চাষাবাদ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান ইমাম বলেন, সমলয়ে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব। এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ব্যয় বহন করে বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষি অধিদপ্তর কাজ করে যাবে। প্রাথমিকভাবে আমরা আশাবাদী প্রতি একরে ১০০ থেকে ১২০ মণ ধান উৎপাদন হবে।
সান নিউজ/জেইউবি/কেটি