সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: দার্শনিক ও মানবতার মহান সাধক ফকির মহাত্মা লালন সাঁই। তিনি প্রায় সহস্রাধিক মরমি ভাববাণীর রচয়িতা। মর্মস্পর্শী সেসব ভাববাণী বাংলার সহজ সরলমনা সঙ্গীত প্রেমীদের আত্মার খোরাক।
শুধু তাই নয়, লালন ফকিরের উদার মানবতাবাদী এই ভাববাণী এখন সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষের জীবনের ভাবাদর্শ। সেই ভাবাদর্শকে আরও ছড়িয়ে দিতে ২০১৯ সালের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো সাধুসঙ্গের ২৩তম আসর।
প্রতিমাসের পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় একাডেমির বটতলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় মাসিক এই সাধুসঙ্গের আয়োজন। বসন্তের বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। আয়োজনের শুরুতে বাউল দলের শিল্পীদের কন্ঠে সাঁইজির ভাববাণী এবং শিল্পকলা একাডেমি বাউল দলের ভাববাণী পরিবেশিত হয়।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো।
আলোচনা শেষে শুরু হয় সাধুগুরুদের পরিবেশনা। এতে বাউল সংগীত পরিবেশন করেন- কাঙ্গালিনী সুফিয়া, কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার, সমির বাউল, পাগলা বাবলু এবং কুদ্দুস বাউল। দেশের বরণ্যে এ শিল্পীদের পাশাপাশি এ সাধুসঙ্গে সংগীত পরিবেশন করেন- বাউল কামাল, ম্যাজিক বাউলিয়ানা চ্যাম্পিয়ন শিবলী সাদিক, সাইদুল, দিল বাহার খান, মমতাজ, ফারুক নুরী এবং আশালতা।
সান নিউজ/আরআই