রাজনীতি

সংলাপে অংশ নেবে না ইসলামী আন্দোলন

সান নিউজ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জন–আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।

শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় তিনি নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত ইসি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে, যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হয়েছেন। আর ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ১০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে, যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। তা ছাড়া অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাঁকে রাষ্টপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না। এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের জন্য কমিশনকে রাষ্ট্রপতির জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় তারা হতাশ বলেও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করে দলটি সাত দফা দাবি জানায়। তার মধ্যে রয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। ইসি গঠন আইন চলমান সংসদের মাধ্যমে নয়; রাজনৈতিক সংগঠন ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে ইসি গঠনসংক্রান্ত আইন প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনে কোনো ধরনের অসততা, অদক্ষতা ও পক্ষপাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। জনপ্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন ইসির হাতে ন্যস্ত করতে হবে। নির্বাচনকালীন সহিংসতার প্রতিটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসিকেই নিতে হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে দেখলে তাঁদের স্থায়ীভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ প্রভৃতি দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বিএনপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ও মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশও এমন ঘোষণা দিয়েছে। এই সংলাপ শুরু হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।

সান নিউজ/এমকেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

চাকরি ছাড়লেন চার এএসপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৪০তম বিসিএস পু...

পৃথক ঘটনায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: চাঁদপুরের পুরান বাজার কৃষি ব্যাংক থেকে রাশেদ...

বাংলাদেশ সফর করায় কাতারের আমিরকে কমিউনিটির শুভেচ্ছা

আমিনুল হক কাজল, কাতার প্রতিনিধি : কাতারের মাননীয় আমির শেখ তা...

এমপি আনার হত্যায় ৩ বাংলাদেশি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিহত...

ঠাকুরগাঁওয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন রূপান্তরের আয়োজনে...

শাহজালালে সোনাসহ আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৬...

আনারের হত্যাকারীরা চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে যারা হত্যা করেছ...

নতুন শিক্ষাক্রমে ডিসেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা...

কর কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ২ কোটি টা...

আনারের মৃত্যু নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা