নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি: সমস্যার যেনো শেষ নেই, সংকটে রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যদিও সারা দেশে কারিগরি শিক্ষার মান্নোয়ন প্রযুক্তিগত ভাবে ডিজিটাল করছেন। কিন্তু সে হিসেবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে। মান্ধাতার আমলে যে রকম ছিল কালের সাক্ষী হিসেবে এখনও সেরকমই রয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই ভবনটি সংস্কার বা নতুন রুপে উন্নয়ন করা হয়নি। মান্ধাতার আমলের পুরাতন বিল্ডিংয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ট্রেনিং ট্রেড ক্লাসগুলো। একদিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে অন্যদিকে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। বৃষ্টি পড়া শুরু হলে ছাদের পানিতে রুমগুলোতে পুকুরে পরিণত হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলেই ছাদের পানিতে ভিজে ক্লাস করতে হয়। এছাড়াও রয়েছে ট্রেড ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকারের আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব।
টিটিসি’র শিক্ষকদের বক্তব্য-জরাজীর্ণ পুরনো ভবনে বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আমরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকটি ট্রেডের ক্লাস রুমে ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। অনেক আগেই এই ভবনের মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন তৈরি করা প্রয়োজন। এছাড়াও উন্নতমানের সরঞ্জামাদি না থাকায় শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদানে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। পার্বত্য অঞ্চলে একমাত্র পুরাতন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই বেহাল দশা। সরকারের উচিত জরুরি ভাবে রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভবনসহ সকল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করার। এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষসহ ১৫-১৬ জন ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষক রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক জৈষ্ঠ শিক্ষক রয়েছে তারা পিআরএল এ যাওয়ার সময় হয়েছে কিন্তু পদোন্নতি হচ্ছে না । এ নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, সংকটে জর্জরিত রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। এ প্রতিষ্ঠানের বড় সমস্যা হলো ভবন সমস্যা। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদির অভাব রয়েছে। সরকার কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তারপরও কেনো যে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। রাঙামাটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অর্জন অনেক। এখানে সকল ট্রেডে রয়েছে দক্ষ ও মেধাবি শিক্ষক। লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক এবং এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর দেশের বাহিরে এক-দুই শিক্ষার্থী স্কলারশিপ (মেধাবৃত্তি) নিয়ে জাপান ও কোরিয়া গমন করেন। এখানে শুধু নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হচ্ছে না। এ প্রতিষ্ঠানে এমন কিছু ট্রেড আছে সেখানে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরাও ভর্তি হচ্ছেন।
সান নিউজ/ আরএস