শফিক স্বপন, মাদারীপুর: মাদারীপুরের নবগঠিত ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের এলডিজিইডি’র ৭৭ লাখ টাকা খরচে মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন তদারকি করে অনিয়মের পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মানুষের কষ্ট লাঘবে চেষ্টা করছে সরকার
কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নে (নবগঠিত ডাসার উপজেলার অর্ন্তগত) গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৭৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা প্রাক্কলন খরচে ধুলগ্রাম বাজার থেকে টুবিয়া হাট পর্যন্ত ১,৬৮৩ মিটার বা দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ১ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার মেসার্স স্বর্ণা ট্রেডার্সকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯০১ টাকা চুক্তিমূল্যে সড়কটির দেড় কিলোমিটার সংস্কারের কার্যাদেশ দেয়। যা গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটিতে নিম্নমানের ইট, খোয়া ব্যবহার করে কাজ ধীরগতিতে করে। এছাড়া সড়কের দুই পাশের খালের পাড়ে মাটি ব্যবহার না করেই সড়কটির নতুন করে এজেন্ট স্থাপন করেছে। এতে সড়কটির বেশ কিছু স্থানের এজেন্ট ভেঙ্গে পড়ে গেছে। সড়কটির সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ভ্যানচালক মনছুর হোসেন বলেন, আমি রোজ এই সড়কটি দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাত্রীবহন করি। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পঁচা ইট ও খোয়া দেওয়া হয়েছে। যাতে এই সড়কটি বেশিদিন টিকবে না। একই ধরনের কথা বললেন, আরেক ইজিবাইক চালক রহমান।
তিনি বলেন, আমি এই সড়কটি দিয়ে প্রায়ই জেলা শহরে যাই। কিন্তু রাস্তাটি অনেকদিন ধরেই কাজ না করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে আছি। তাছাড়া রাস্তায় খারাপ মানের খোয়া দিয়ে ডলা দিচ্ছে। এই রাস্তা বেশিদিন টিকবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব বলেন, আমি চাই রাস্তাটি ভাল মানের তৈরী করা হোক। এই রাস্তা দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। রাস্তাটি ভালভাবে তৈরী করা হলে আমাদের জন্য ভাল হয়। এইটাই আমি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী করছি।
এই বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্বর্ণা ট্রেডার্সের মালিককে পাওয়া না গেলেও তার স্থানীয় প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই সড়ক সংস্কার করছি। কিছু স্থানে সমস্যা থাকতে পারে। আমরা সেটা ঠিক করে দেব।
এই বিষয়ে কালকিনি এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি কাজ পরিদর্শন করব। যদি কাজের মান খারাপ দেখি। তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
সান নিউজ/এনকে