জাতীয়

পাইলটরা আলটিমেটাম দেননি: বিমান সিইও

সাননিউজ ডেস্ক: চালকদের ধর্মঘটের ব্যাপারে কোন ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বিমান।

শনিবার (১৭ জুলাই) তিনি বলেন, পাইলট ও ক্রু সদস্যরা একটি চিঠিতে তাদের বেতন কর্তনের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ার কোন ইঙ্গিত দেননি।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) নেতাদের বরাতে কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে কর্তন করা বেতন ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সমন্বয় করা না হলে বিমানের পাইলটরা ধর্মঘটে যাবেন।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাইলটদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্র-মালিকানাধীন কোম্পানিটি মহামারির কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য দৃঢ় প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের জুলাই থেকে মহামারির কারণে বিমান কর্তৃপক্ষ পাইলটসহ সকল কর্মচারীদের বেতন কর্তন করতে এবং রক্ষাণাবেক্ষণ ও পরিচালন খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত সিনিয়র পাইলট ছাড়া সংস্থার সকল কর্মচারীর বেতন কাঠামো পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিমান আরও জানায়, সিনিয়র পাইলটদের জন্য বেতন কর্তন পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যেসব পাইলট পাঁচ বছর থেকে ১০ বছরের ধরে সেবা দিচ্ছেন তাদের বেতন জুলাই থেকে বিদ্যমান ২০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কর্তন করা হবে। যেসব ককপিট ক্রু সদস্য ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সেবা দিচ্ছেন তাদের বেতন বর্তমান ৪০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ কর্তন করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) তাদের অসন্তোষ জানিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে একটি চিঠি লিখে এবং তাদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার অনুরোধ জানায়।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোট স্থায়ী ১৫৭ জন পাইলটের মধ্যে ৬৯ জনকে তাদের স্বাভাবিক বেতন কাঠামোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিমান তার স্বাভাবিক আয়ে ফিরলেই, আমরা অন্যান্য সিনিয়র পাইলটদের বেতন-কর্তন বন্ধ করে দেব।

বাপা সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান দাবি করেছেন, যাদের মূল বেতন স্বাভাবিক কাঠামোতে ফিরে এসেছে, তাদের সংখ্যা ২০ জনের বেশি হবে না। বাপা গণমাধ্যমকে বলেনি যে, ৩০ জুলাইয়ের পর তারা ধর্মঘটে যাবে। কিন্তু আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ৩০ জুলাইয়ের পর থেকে আমরা কোন অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করব না।

বাপার সভাপতি বলেন, মহামারির মধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, ভ্যাকসিন পরিবহনের প্রয়োজনে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার প্রয়োজন হলে বিমানের পাইলটরা জরুরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

বিমান কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোন পাইলট বিমান চলাচল ব্যাহত করলে বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যে কোন মহলের যে কোন অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শুধু পাইলটদেরই নয়, বরং এর সকল কর্মীর বেতন কর্তন করেছে। বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান কোভিড-১৯ চলাকালে কোন পাইলটকেই বরখাস্ত করেনি। এমনকি কোভিড-১৯ এর প্রথম দিকের মাসগুলোতে কোন কোন পাইলট এক ঘণ্টাও বিমান না চালিয়ে বেতন গ্রহণ করেছেন। কোন কোন পাইলট মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিমান চালিয়েছেন।

সাননিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের পিএইচডি নিয়ে জালিয়াতিসহ নানা দুর্নী...

খাগড়াছড়িতে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন 

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

ভূমিদস্যুদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়...

টঙ্গীবাড়িতে আরিফ হালদারের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

সাংবাদিকতায় সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ডিএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জুন মাসে...

স্বর্ণপদক পেলেন এনার্জিপ্যাকের চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনার্জিপ্যাক পা...

অবশেষে দেশে ফিরল এমভি আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমালিয়ান জলদস্...

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের...

ডোনাল্ড লু ঢাকায় আসছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২ দিনের সফরে আগামীকাল ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ...

ভালুকায় কৃষকদের মাঝে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০২৩-২৪ অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা