জাতীয়

পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতিতে পরিবেশ দূষণের প্রতিযোগিতায় তাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধান দুই দলের পক্ষ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চললেও নির্বিকার নির্বাচন কমিশন। পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার আগেই পরিবেশ দূষণের প্রতিযোগিতার মেতেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে উচ্চ স্বরে মাইক বাজানো, পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকে লেমিনেটিং করা ব্যানার পোস্টার লাগানো, রাস্তা বন্ধ করে পথসভা, যানজট সৃষ্টি করে প্রচারণা চালানোসহ বিধি বহির্ভভূত প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকা শহর। প্রচারণার সময় যত্রতত্র আবর্জ না ফেলে যাওয়া হচ্ছে আবর্জনা। দেয়াল, যানবাহন, খুঁটি, গাছসহ যেখানে সেখানে লাগানো হচ্ছে পোস্টার।

কান ফাঁটানো শব্দে প্রার্থীদের গুণকীর্তন সমৃদ্ধ গান আর ছন্দময় স্লোগানে ভোটের আহবানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীবাসী। কানের পর্দা ফাটানো নির্বাচনী প্রচারণার শব্দ এখন রাজধানী জুড়ে। রাত আটটার পরে মিছিলের উচ্চ শব্দে এক সংগে মোটর সাইকেলের হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না কেউ।


এ বিষয়ে ঢাকার উত্তরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও বলছেন, "আমার জানামতে আমার পোষ্টার প্লাস্টিকে হওয়ার কথা না। আমরা জানি শুধু বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর অনেক বড় সমস্যা হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য, প্লাস্টিক দূষণ। আমি সচেতনভাবে আমার কর্মীদের বলেছি আমরা যেন কোন পলি ব্যবহার না করি।"

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উত্তরের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামের মন্তব্য, "আমাদের প্রচারণা আটটার পরে আমরা করি না। জনতার যখন ঢল নামে তখন আটটা নাকি দশটা নাকি চব্বিশ ঘণ্টা কেউ কিছু বলতে পারবে না। জনতার ঢল আমি তো দাবায়ে রাখাতে পারবো না।"

আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী পোস্টার লেমিনেটিং করা অবস্থায় এলাকা জুড়ে ঝুলতে থাকলেও তাঁর দাবি, "যে যার মতো লাগাচ্ছে। আমি যেমন প্রিন্টিং করেছি ল্যামিনেটিং ছাড়া। কোথা থেকে কে লাগাচ্ছে বোঝার ক্ষমতা কারো নেই।"

বাংলাদেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী প্রচারণায় মাইক, লাউড স্পিকার বা উঁচু শব্দ তৈরি করে এমন কিছু ব্যবহারের নির্ধারিত সময় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো সড়কে পথসভা করা যাবে না। দড়িতে উপরের দিকে ঝুলিয়ে পোষ্টার লাগানোর বাইরে অন্য কোথাও পোস্টর না লাগারোর কথা রয়েছে বিধিতে। কিন্তু এসব নিয়ম অবাধে ভঙ্গ করছেন প্রার্থীরা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের আচরণ বিধি লংঘনের জন্য ‘আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ বলে কয়েকদিন আগে রিটার্নিং কর্মকর্তারা হুশিয়ারী দিলেও তার দৃশ্যমান কোন উদোগ দেখা যায়নি এখনও।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চের পর ফেরি চলাচলও বন্ধ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে শু...

নীলফামারীতে আবির নামে ভুয়া সেনাসদস্য গ্রেফতার

নীলফামারীতে লাবিব ইসলাম আবির (২৭) নামে ভুয়া এক সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছ...

ভালুকায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাত দিবস পালনে অনুদান নয়: মোর্শেদ আলম

মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বি...

লাউয়াছড়ায় গাছের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা; অল্পের জন্য রক্ষা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা-...

কোভিট-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি প্রজেক্ট

কোভিট-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের উন্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা