আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তুরস্কে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৪ জন। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ২ হাজার ৫৩০ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ
এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। খবর আল-জাজিরার।
এখন ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধার কাজ। ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও বহু মানুষ। আটকে পড়া অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন।
আরও পড়ুন: নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় দেশ দুটির অধিকাংশ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
এরপর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এবং বেশ কয়েকটি আফটারশকে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সিরিয়ার একটি অঞ্চল। এছাড়া তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর বিধ্বস্ত হয়। এরই মধ্যে এসব শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
আরও পড়ুন: পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যশ দ্য ইকোনোমিস্টকে ওভগান আহমেত এরকান নামে একজন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তিনি ধারণা করছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এখনো জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকে আছেন। তবে তার এ দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও বলা হয়েছে, তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সড়ক স্মার্ট করতে হবে
তবে এখনো যে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন সেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তুরস্কের হাতেই নামের একটি অঞ্চল। সেই অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি।
বলা হচ্ছে, হাতেইয়ের বেশিরভাগ ভবন ধসে গেছে। ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ এতই বেশি যে, উদ্ধারকারীরাও আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
সান নিউজ/এমআর