নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সাধারণ মানুষ ওষুধ ও চিকিৎসা ছাড়াই মহান আল্লাহর রহমতে বেঁচে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, “দেশে সাধারণ মানুষের জন্য করোনার কোনো চিকিৎসা নেই। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা আছে কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দেশের ৯০ ভাগ মানুষের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই। দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনার কোনো চিকিৎসা নেই বললেই চলে।”
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের দেশে মৃত্যুর হার কম। আমার প্রশ্ন যেখানে চিকিৎসা নেই, হাসপাতালে বেড নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই সেখানে মৃত্যুর হার কম হলে মন্ত্রীর কৃতিত্ব কী?”
তিনি বলেন, “দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে পারছে না সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে দেশে দুর্নীতি ছিল না, আইনের শাসন ছিল। পল্লীবন্ধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এসিড সন্ত্রাস বন্ধ করতে আইন বাস্তবায়ন করেছিলেন। দেশ থেকে এসিড সন্ত্রাস বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন পল্লীবন্ধু। এখন আইন আছে কিন্তু খুন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি। কারণ আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আমরা দেশের মানুষকে আইনের শাসন ও সামজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নতুন বাংলাদেশ গড়বো।”
জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাদকের ছোবলে।
সান নিউজ/এস