সান নিউজ ডেস্ক: রুশ সেনাদের প্রধান লক্ষ্য পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দখল নেওয়া। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্তোভিচ বলেন, ‘কিন্তু তাদের এই চেষ্টা হবে আত্মহত্যার সামিল।’রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মারিওপোল এখন পৃথিবীর ‘নরক’
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, কিয়েভের দখল নিতে হলে রাশিয়ার সব ইউক্রেনীয়কে হত্যা করার পথে হাঁটতে হবে।
বিশাল সেনাবহর নিয়ে তৈরি থাকলেও এখনও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের বাহ্যিক কোনো চেষ্টাই করেনি রাশিয়া।
মস্কো বারবার জানিয়ে আসছে ইউক্রেন দখলে নেওয়ার কোন ইচ্ছে রাশিয়ার নেই। তারা কেবল ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ও নিরস্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর ইউক্রেনের কোনোভাবেই ন্যাটোতে যোগ দেওয়া যাবে না।
এদিকে খারকিভ ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। তাই সেনা অভিযানের শুরুতেই শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। এখনও খারকিভে ধারাবাহিকভাবে রুশ হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউক্রেনের জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রুশ হামলায় খারকিভের প্রায় এক হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এর অধিকাংশই আবাসিক ভবন বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার সেনারা এখন অনবরত খারকিভে গোলাবর্ষণ করছে বলে দাবি জেলেনস্কি প্রশাসনের। এতে অন্তত ৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন: কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ থেমে যাবে
এদিকে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি, রুশ সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ না চাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মারিওপোলের পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, শহরটিকে পৃথিবীতে অবস্থিত ‘নরক’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিগত ২ সপ্তাহের অধিক সময় ধরে শহরটি অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। সেখানে গোলাবর্ষণ-ধ্বংসযজ্ঞতা অব্যাহত রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে রুশ বোমা হামলার কারণে প্রায় সব ভবনগুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে