রংপুর ব্যুরো: নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই রংপুর মহানগরীসহ এ অঞ্চলের ৫ জেলায় বোরো ধান চাষ করেছিল কৃষকরা। এবার সেই ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১৬ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির আভাস
অনেক স্থানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। অনেক কৃষক নিজের জমিতে চাষ হওয়া ধান বাড়িতে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে বিগত বছরগুলোতে অনেক কৃষকের ধান কাটতে স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। এ বছর স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিবে এমন কারো সহযোগিতা পাচ্ছেন না কৃষকরা। সেই সাথে বেড়েছে শ্রমিকের দাম। ফলে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে।
সরেজমিনে রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোসহ আনুষঙ্গিক কাজে কৃষক-কৃষাণীসহ দিনমজুররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছুদিনের মধ্যেই বোরো ধানের ফসলের মাঠ ফাঁকা হয়ে যাবে। ধান উঠবে কৃষকের ঘরে।
আরও পড়ুন: উপজেলা ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। তবে হতাশায় ফেলে শ্রমিক মুজরি ও সংকট। এবার ধান কাটতে কৃষকের পাশে নেই কেউ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর মহানগরীসহ জেলার ৮ উপজেলা ও রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৮ লাখ ৭৮৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
রংপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির খবরে তাদের উৎকণ্ঠা বেড়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে বোরো আবাদ ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন
গত কয়েক বছর অনেকে ধান কেটে দিতেন। সে সময় তাদেরকে পাশে পেয়ে সহজেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ধান রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু এবার কাউকে পাশে পাচ্ছেন না। সেই সাথে শ্রমিকের মুজুরি ও সংকট থাকায় তারা চরম হতাশায় পড়েছেন।
গত সপ্তাহে আবহাওয়া অধিদফতর ঘোষণা করেছিল, মে মাসে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। যেকোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে। এ কারণে তারা ধান নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।
সান নিউজ/এনজে