শিল্প ও সাহিত্য

কবি শামসুর রাহমানের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কবি শামসুর রাহমানের ৯৩তম জন্মদিন আজ। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলীতে জন্ম নেন বাংলা কবিতার এই রাজপুত্র। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্ত চেতনা, অসাম্প্র্রদায়িকতা ও নাগরিকতার অগ্রদূত কবি শামসুর রাহমান। তিনি বাংলা সাহিত্যে আলাদা স্থান করে নিয়েছেন নিজস্বতা দিয়ে। প্রতিবাদ ও প্রেমে, সশব্দতা ও মগ্নতায় বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান এ কবি অনন্য।

কবি শামসুর রাহমানের বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী, মা আমেনা বেগম। তার পড়াশোনা শুরু হয় রাজধানীর পোগোজ স্কুল দিয়ে। ৪০০ বছরের পুরোনো নগর ঢাকাতে বেড়ে ওঠেন তিনি। এখানেই কেটেছে তার সারাজীবন। শৈশবেই কবিতায় হাতেখড়ি হয় তার।

১৯৫৭ সালে শামসুর রাহমান সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজের সহ-সম্পাদক হিসেবে। পরে পুরো এক দশক তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

শামসুর রাহমানের কবিতার বিষয়বস্তু প্রেম, মানবিকতা, স্বাধীনতা ও মানুষের বিকাশের পক্ষে; প্রতিক্রিয়াশীলতা, ধর্মান্ধতা ও সাম্প্র্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে যুক্ত ছিলেন তিনি তার কলম ও কাব্যশক্তি নিয়ে। এমনকি কখনও কখনও রাজপথেও নেমেছেন লেখক-সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে। আসাদের শহীদের পর যেমন, তেমনি নূর হোসেনের মৃত্যুর পরও তার কলম থেকে বেরিয়ে এসেছে ধারালো কবিতা। তিনি লিখেছেন, 'আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা'। নূর হোসেনকে নিয়ে লিখেছেন, 'বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়'। এভাবে শামসুর রাহমান মূলত বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের সমান বয়সী এক কবির আসনে আসীন। তার কবিতা ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক; একই সঙ্গে গীতিময় ও মহাকাব্যিক। বাংলা কবিতায় আধুনিকতা, ব্যক্তির নিঃসঙ্গতা, বিবমিষা ও আনন্দলহরীর অনিন্দ্য এক রূপকার শামসুর রাহমান।

'নিজ বাসভূমে', 'বন্দী শিবির থেকে', 'দুঃসময়ে মুখোমুখি', 'ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা', 'বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে', 'ইকারুসের আকাশ', 'উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ', 'যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে', 'অস্ত্রে আমার বিশ্বাস নেই', 'দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে', 'বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়', 'ভস্মস্তূপে গোলাপের হাসি' প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থের শিরোনামই বলে দেয়- শামসুর রাহমানের কবিতা স্বদেশ চিন্তার অন্যতম দলিল।

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য শামসুর রাহমান স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, আদমজী পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি জাপানের মিৎসুবিশি পুরস্কার পান। ১৯৯৪ সালে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা তাকে আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত করে। ওই বছর তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধি দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৬ সালে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধি দেয় কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সাংবাদিকতায় সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ডিএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জুন মাসে...

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

নোয়াখালীর প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদ...

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা মঙ্গলবার

স্পোর্টস ডেস্ক: সব জল্পনা-কল্পনার...

ভালুকায় কৃষকদের মাঝে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০২৩-২৪ অ...

পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হলে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পরীক্ষার ফল ভালো না হলে তা মানসিক চাপ ও উদ...

চীন যাচ্ছেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্...

বিএনপি ইসরায়েলের দোসর

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ...

হরিপুরে একদিনে ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্...

বাংলাদেশের দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা