আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩। আগামী ২৩ থেকে ২৪ অগস্টের মধ্যে চাঁদের বুকে চন্দ্রযানটি অবতরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিস্টেম দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস
শুক্রবার (১৪ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
এলভিএম-৩ রকেট ইসরোর এই চন্দ্রযানের কেন্দ্রে রয়েছে। এটি চন্দ্রযানটিকে শক্তি জোগাবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে। এলভিএম-৩ হল একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান। এর আগে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় এই এলভিএম-৩ ব্যবহৃত হয়েছে।
একে বলা হয় ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’। এর মধ্যে দু’টি স্তরে কঠিন জ্বালানি এবং একটি স্তরে তরল জ্বালানি রয়েছে। কঠিন জ্বালানি ১২৭ সেকেন্ড ধরে জ্বলে। উৎক্ষেপণের ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে জ্বলতে শুরু করে তরল জ্বালানি। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম 'বিক্রম' এবং রোভারের নাম 'প্রজ্ঞান'।
আরও পড়ুন: এবার হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ভিডিও
২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদের পিঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান-২। ভারত অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রস্তুতি নেয়। অতীতের অভিযানে পাঠানো অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
তাই এ বারের অভিযানে ইসরো আর কোনও অরবিটার পাঠায়নি চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদের মাটিতে নামতে কক্ষপথে থাকা চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেবে এ বার চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে যাওয়া ল্যান্ডার এবং এর ভিতরে থাকা রোভার।
আরও পড়ুন: এবার টুইট পড়ায় সীমাবদ্ধতা!
ইসরোর চাঁদের মাটিতে নেমে দু’সপ্তাহ গবেষণা চলবে। এতে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং নাসার সাহায্যও নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন