নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দুই দিনের ১০ম প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সাথে জিনপিংয়ের বৈঠক আজ
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় ঢাকায় এএফডি কার্যালয়ে এ সংলাপ ২ দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেবে বাংলাদেশ।
সেই সাথে এ আলোচনায় গুরুত্ব পাবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও সফর বিনিময়, দুর্যোগ মোকাবিলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন।
১০ম প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিতে ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতি বিষয়ক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টমাস জে জেমস গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস
সংলাপে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) অপারেশন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) এবং ওয়াশিংটন প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসাবে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) ও দ্য অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট (আকসা) এতে গুরুত্ব পাবে।
আরও পড়ুন: আজ যে এলাকায় গ্যাস থাকবে না
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশই সংলাপে এ বিষয়গুলোতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিকে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে চায়। এ কারণে ভারতসহ এ অঞ্চলের বন্ধু দেশগুলোকে নিজেদের পাশে রাখতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্যই তারা আইপিএসেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এছাড়া অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক চায় দেশটি।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলায় রুশ যুদ্ধবিমান
এ প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বের বিষয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার জানান, অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মনোভাব অভিন্ন।
তিনি জানান, পারস্পরিক লক্ষ্য অনুসরণে ঢাকায় ২৩-২৪ আগস্ট বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে বসবে। এ সংলাপে উপস্থিত থাকবেন ২ দেশের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বেসামরিক ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে
সামরিক শিক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং আগামী বছর অনুষ্ঠেয় দুর্যোগ মোকাবিলা অনুশীলনসহ আসন্ন সামরিক অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
ওয়াশিংটন সূত্র বলছে, এ সংলাপে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে জানতে চাইবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে জিসোমিয়া ও আকসা নিয়ে কথা বলবেন মার্কিন প্রতিনিধি।
সূত্র থেকে জানা যায়, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে সামরিক বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চায় সরকার।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৬
সেই সাথে নিজেদের সক্ষমতা, যুগোপযোগী হওয়া ও ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত বিবেচনায় সমরাস্ত্র ক্রয়ে রাশিয়া নির্ভরতা কমিয়ে অন্য দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ২০২২ সালের মে মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ৯ম প্রতিরক্ষা সংলাপে আলোচনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই কারাগারে থাকসিন সিনাওয়াত্রা
এবার চুক্তি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সমরাস্ত্র বিক্রি করতে পারে না বলে জিসোমিয়া স্বাক্ষরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তির ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রতিরক্ষা সংলাপে স্পষ্ট অবস্থান জানানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ২ প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে ধীরে চলার পক্ষে সরকার।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সান নিউজ/এনজে