নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীকাল ২০ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।
১৯ বছর আগে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালায়। এতে পাঁচ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, এ মামলায় সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা হোক। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী মাইনু উদ্দিন আসামিদের খালাস দাবি করেন।
রায়ে কী প্রত্যশা করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, আমরা সাক্ষ্য প্রমাণে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আশা করছি।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়।
এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। মামলাটি পুনঃতদন্তের পর ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃনাল কান্তি সাহা।পরের বছর ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলো, মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাত আসামি পলাতক।
সান নিউজ/সালি