জাতীয়
আফগান দূতাবাসকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী

ভয়-আতঙ্ক না করে মাতৃভূমির সেবা করুন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: ঢাকার আফগান দূতাবাসকে স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যেতে বলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কোন ভয় ও আতঙ্কের কাছে নিজেকে অহেতুক ছেড়ে না দিয়ে পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে মাতৃভূমির সেবা করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এই নির্দেশনায় বিস্মিত এক কূটনীতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটি কোনো ধোঁকা কি না, সেটি তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক আফগান কূটনীতিক বলেন, আমাদেরকে দেশের স্বার্থে কাজ করতে বলা হয়েছে। আগের সরকারের সঙ্গে কাজ করায় কোন প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার শিকার হতে হবে না বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

আফগান দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এমন আচরণ বিস্ময়কর এবং একেবারেই নুতন। বিশেষ করে বালক-বালিকাদের পড়া শোনা ও নারীদের পড়ালেখা ও কাজের সুযোগ সম্পর্কে দেয়া তাদের ঘোষণা সত্যিই চমকে দেয়ার মতো।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘোষণা আর কাজে এই ভিন্নতার কারণে ঢাকায় আফগান দূতাবাসের ওই কর্মীর মনেও সংশয় আছে। তাদেরকে দেয়া নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা বিশ্ববাসীর জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ধোঁকা কিনা এটা সময় নিয়ে বুঝতে হবে। তবে বহির্বিশ্বে থাকা মিশনগুলোতে দেয়া এবারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বার্তা আগেরবারের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও চমকে দেয়ার মতো।

দেশে থাকা স্বজনদের নিয়ে আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছন।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলে ঢুকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সরকারি বাহিনী যুদ্ধ না করে রাজধানী উগ্রপন্থি ধর্মীয় গোষ্ঠীটির হাতে তুলে দেয়। দেশ ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী ৯০ দশকের শেষ ভাগেও কাবুলের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। সে সময় তাদের কট্টর শাসনে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। নারীদের চাকরি, পড়াশোনা, একা বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল তাদের। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর অভিযানে কাবুল ছেড়ে যায় তারা।

দুই দশক পরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক হয়ে যাওয়ার পর আবার ৯০ দশকের সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে। যদিও তাদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, এবার আর এতটা কট্টর হবে না তারা। নারীদেরকে সরকারে যোগ দেয়ার আহ্বানও জানানো হয় শুরুতে।

তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই নমনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, কর্মজীবী নারীদেরকে তারা এখন ঘরে থাকতে বলছে।

কেবল নারী ইস্যু নয়, ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করার পর আগের সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্তদের খুঁজতে ঘরে ঘরে অভিযানের তথ্যও এসেছে।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জায়েদের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার (১লা মে) বেশ কিছু খ...

বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এই সিদ্ধান্ত 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নতুন করে...

এলপি গ্যাসের দাম কমলো 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত...

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ জনের

জেলা প্রতিনিধি : রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃ...

ঢাকায় ফিরল ৮ বাংলাদেশির লাশ  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউ...

শনিবার খুলছে স্কুল-কলেজ, রোববার প্রাথমিক 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান, ঈ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা