নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারিত্ব নিশ্চিতে একটি ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়ণ নিয়ে হাইকোর্ট থেকে একটি আদেশ এসেছে।
প্রেস কাউন্সিল আইন-১৯৭৪ এর ১১(২)(খ) অনুযায়ী একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে এই রুলে।
সেই সাথে এই আচরণবিধি প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী একটি একটি ব্রডকাস্টিং কমিশন গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
অননুমোদিত, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রচার-প্রকাশ বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং নিবন্ধনের জন্য বিবেচনাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করে।
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু।
শুনানিতে তার সঙ্গে ছিলেন জারিন রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ঢাকার গুলশানে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন চ্যানেলে ‘সম্মানহানিকর’ বিভিন্ন খবর প্রকাশ বন্ধে গত ৫ মে বিবাদীদের আইনি নোটিস দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী রাশিদা ও জারিন।
কিন্তু বিবাদীদের কাজ থেকে কোনো সাড়া পেয়ে গত জুনে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়েই রুল দিল উচ্চ আদালত।
রাশিদা বলেন, গত এপ্রিলে ঢাকায় কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন চ্যানেল মুখরোচক গল্প বানিয়ে সম্মানহানিকর সংবাদ-প্রতিবেদন প্রচার-প্রকাশ করেছে।
আইনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে, এসব বিষয় তদারকির জন্য একটি কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনও কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি।
তিনি বলেন, আবার যেসব অনলাইন পোর্টাল বা চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেগুলো নিবন্ধন করছে কি না, সেটারও কোনো তদারকি নেই।
রুল শুনানির সময় আরেকটা সম্পূরক আবেদন করে অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ চাইবেন বলে জানান এই আইনজীবী।
সান নিউজ/এফএআর