নিজস্ব প্রতিবেদক: মেট্রোরেলের ৬টি কোচের দ্বিতীয় চালান রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১ জুন) রাত সোয়া ৭টার দিকে দুটি কোচ এবং ৮টার দিকে চারটি কোচবাহী বার্জ জেটির কাছে আসে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে কোচগুলো উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে নেওয়া হবে।
ঢাকায় মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ ও ট্রেন চালানোর দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের লাইনে (লাইন-৬) এসব ট্রেন চলাচল করবে। ডিএমটিসিএলের তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় মেট্রো ট্রেন সেটবাহী জাহাজ গত ২১ এপ্রিল জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ৯ মে বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছায়। মোংলা বন্দরে শুল্ক ও ভ্যাট সম্পর্কিত কার্যাদি সম্পন্ন করে ২৪ মে বার্জে করে নদী পথে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব শুরু হয়। ২৬ ট্রেন সেট বহনকারী বার্জ ঝালকাঠিতে পৌঁছানোর পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর আশঙ্কায় নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ কারণে ঝালকাঠিতেই নোঙর করে রাখা হয়। ২৮ মে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল মেট্রোরেলের প্রথম একসেট ট্রেন ঢাকায় আসে। ১২ মে বাংলাদেশের প্রথম বিদুৎ চালিত এই ট্রেন উত্তরা ডিপোর ভেতরেই ৫০০ মিটার এলাকায় চালিয়ে দেখা হয়। এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
ডিএমটিসিএলের অধীনে ঢাকা ও এর আশপাশে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি লাইন-৬। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ সেট ট্রেন, যার দুটি দেশে এসে পৌঁছেছে।