জাতীয়

চলমান বিধি-নিষেধ শেষ হচ্ছে রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রোববার (৩০ মে) মধ্যরাতে। এরপর বিধিনিষেধ আর বাড়বে কি-না, সেই ব্যাপারে শনিবার (২৯ মে) রাত পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে রোববার সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সেই শিথিল লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে পাঁচ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ২৩ মে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে সেবা দেয়ার অনুমতি পায়।

এছাড়া বিধিনিষেধে আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল। খোলা ছিল শিল্প-কারখানাও। তবে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ বাড়ানো বা তুলে দেয়ার বিষয়ে সরকার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। কারণ করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শঙ্কা হয়ে ঝুলে আছে। সবকিছু একেবারে খুলে দিলে মানুষের বেপরোয়া আচরণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে বিপর্যয় হতে পারে। আবার অফিস-আদালত দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখাও ক্ষতির কারণ হচ্ছে।

বিধিনিষেধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা একজন সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, রোববারের পর বিধিনিষেধ বাড়বে নাকি তুলে দেয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মিটিংয়ের জন্য আমরা রেডি ছিলাম, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যে একটা মিটিং হয়, সেটা এখনও হয়নি। সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে, বিদেশের খোঁজ-খবর নিচ্ছে। মোটামুটি সব তো চলছেই। তারপরও বিধিনিষেধ থাকলে একটা সুবিধা তো পাওয়া যায়ই।

তিনি বলেন, এছাড়া এখন সীমান্ত এলাকাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। সেটা বহাল রাখার সঙ্গে বেশি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন আরোপ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সার্বিক লকডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধিতে জোর থাকবে। আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন না থাকলেও কিছু বিধিনিষেধ তো থাকবেই। তাই লকডাউনের মেয়াদ বাড়নো কিংবা না বাড়ানোর বিষয়ে এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।

সান নিউজ/আরআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা