নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় দূর পাল্লার বাস চলাচল না করলেও রাতে শোনে কে কার কথা। সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়াও তিন চাকার সিএনজি চলাচল করছে মহাসড়কে। এসব যানবাহনে চলাচল নেই স্বাস্থ্যবিধি। মহাসড়কের জোকারচর, আনালিয়াবাড়ি, হাতিয়া, সল্লা ও এলেঙ্গায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রাইভেটকারসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, মহাসড়কে গণপরিবহন না পাওয়াতে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫ হাজারের অধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে অন্তত ৩০০ বাস। এছাড়া পণ্যবাহী পরিবহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল করেছে বেশি।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রাজশাহীগামী মাছুম মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য রয়েছি। ভাড়া কয়েকগুণ বেশি নিলেও কোন যানবাহন পাচ্ছি না। রাতেই যে কোন ভাবে আমাকে রাজশাহী ফিরতে হবে। এরক অসংখ্য যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দিনের বেলায় যাওয়া যাবে না। তবে রাতের বেলায় যেতে কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নির্দেশ অমান্য করে দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/বিএস