সান নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'ফাভিপিরাভির' ওষুধ বাংলাদেশেই উৎপাদন হচ্ছে।
বেক্সিমকো ও বিকন দেশীয় এই দুই ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি এই ওষুধ উৎপাদন করছে।
এই ঔষধগুলো কোন ফার্মেসিতে না দিয়ে সরকারের কাছে এবং করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
আজ ৫ এপ্রিল রোববার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এই ঔষধগুলো হস্তান্তর করবে বিকন ফার্মা।
প্রথম ধাপে বিকন ফার্মা ১০০ রোগীর জন্য এই ঔষধটি উৎপাদন করেছে এবং এই মাস থেকে উৎপাদন আরও বাড়াবে।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা সংবাদ মধ্যমকে জানান, যেসব হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেসব হাসপাতালে সরাসরি তারা এই ঔষধ সরবরাহ করবেন।
অন্যদিকে, বিকন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল করিম বলেছেন, "এই ঔষধগুলো উৎপাদন করতে আমাদের মাত্র একমাস সময় লেগেছে। ব্যাপারটি আসলেই সন্তুষ্টিজনক।"
তিনি জানান, পর্যাপ্ত কাঁচামালের সরবরাহ এবং তথ্য উপাত্ত না থাকায় ঔষধ তৈরির এই প্রক্রিয়াটি সহজ ছিল না।
করোনার প্রতিষেধক হিসেবে আলোচনায় আসা
ফাভিপিরাভির ওষুধকে স্বীকৃতি দিয়েছে করোনার মূলকেন্দ্র চীন।
জাপানের ফুজিফিল্ম টোয়ামা কেমিক্যাল সংস্থার এই ওষুধটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শেনঝেন প্রদেশে যেসব করোনা পজিটিভ রোগীদের এই ‘ফাভিপিরাভির’ ওষুধটি দেওয়া হয়েছে, তাদের শরীর থেকে চার দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। তুলনায় যারা স্রেফ আইসোলেশনে ছিলেন, তাদের নেগেটিভ ফল পাওয়া গিয়েছে ১১ দিনে। এমনকি এক্স রে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধ খাওয়ার দরুন, ফুসফুসের সংক্রমণ ৯১ শতাংশ কমেছে। তুলনায় যারা অন্যান্য ওষুধ খাচ্ছে, তাদের কমেছে ৬২ শতাংশ।
২০১৬ সালে যখন গোটা আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়েছিল, তখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই ফাভিপিরাভির ওষুধটি।