আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপের দেশ লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিসজানিস কারিন্স। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশীদার দলগুলোর মাঝে ভাঙন ধরায় পদত্যাগ করছেন বলে জানিয়েছেন কারিন্স।
আরও পড়ুন : শপথ নিলেন আনোয়ার-উল-হক কাকার
সোমবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে কারিন্স বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার আমি নিজের এবং মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেব।’
ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোকে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাল্টিক প্রতিবেশি লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়ার পাশাপাশি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে লাটভিয়া।
গত বছরের অক্টোবরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে কারিন্সের মধ্য-ডানপন্থী নিউ ইউনিটি পার্টি (এনইউপি)। ওই নির্বাচনে দেশটির সংসদের ১০০ আসনের মধ্যে ২৬টিতে জয় পায় কারিন্সের দল। পরে সাতটি দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করে কারিন্স নেতৃত্বাধীন এনইউপি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় কারিন্স বলেন, জোটের অংশীদাররা দেশের সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে খনিতে ধস, নিখোঁজ ৩৪
কারিন্সের মধ্য-ডানপন্থী নিউ ইউনিটি পার্টি লাটভিয়ার রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৯ লাখ মানুষের ছোট্ট এই দেশটি শাসন করে আসছিল।
বুধবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রীসভার তিনটি পদে পরিবর্তন আনান প্রস্তাব তোলেন কারিন্স। কিন্তু জোটের শরীক দলগুলো তার এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। এমনকি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনও আটকে রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১১ আগস্ট) কারিন্স জানিয়েছিলেন, বর্তমান জোটের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়া অথবা নতুন একটি জোট গঠন করার কথা ভাবতে হচ্ছে তাকে।
দেশটির বন্দরনগরী ভেন্টসপিলসের মেয়র আইভারস লেমবার্গস নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলোর জোট গ্রিনস অ্যান্ড দ্য ফার্মার্স ইউনিয়ন। ২০১৯ সালে দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিলেন আইভারস।
আরও পড়ুন : সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান
নিউ ইউনিটি পার্টি আগামী বুধবার (১৬ আগস্ট) দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বাছাই করতে পারে বলে জানা গেছে। লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগারস রিংকেভিক্সের হাতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গঠনের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের বাছাই করা প্রার্থীকেও সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। লাটভিয়ার পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            