যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আজারবাইজানের
আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আজারবাইজানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আর্মেনিয়ার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে বেড়েছে সংঘাতের তীব্রতা। আজারবাইজানের আগদাম অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘরও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো শর্ত ছাড়াই বিতর্কিত অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। আর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীও লড়াই করে শান্তি ফেরানোর কথা বলছেন।

নাগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করে এলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। এদিকে, চলমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার জন্য রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে দুই দেশ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশগুলোর একটি সামরিক জোটের সদস্য রাশিয়া। যে জোটে আর্মেনিয়া রয়েছে এবং দেশটিতে একটি রুশ সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অবশ্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, উভয় দেশের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে মস্কো। তবে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিন্যান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পরিস্থিতির যাতে উন্নতি হয় সে ব্যবস্থা করা। পুনরায় শান্তি স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা কাজ করে যাব।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলকহাম আলিয়েভ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটির সমস্যা সমাধানে আমরা সমঝোতার কথা বলে আসছি। তবে এটি অবশ্যই ১৯৯২ সালে গঠিত ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে হতে হবে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা সব পক্ষকে বিশেষ করে মিত্র দেশ তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যুদ্ধবিরতি ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য।

১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও কারো স্বীকৃতি পায় নি। কিন্তু এ অঞ্চলটি নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি পর এখন আবার সংঘাত চলছে।

সান নিউজ/ বিএম | Sun News

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সার আটক

নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সার আটক করেছে...

গণতন্ত্র ফেরাতে সবাইকে আসতে হবে নির্বাচনে: মির্জা ফখরুল 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে অংশ নে...

মোরেলগঞ্জে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ। মোরেলগঞ্জ উপ...

জাতিসংঘের সাত কর্মীকে আটক করেছে হুথিরা

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হুথিরা ইয়ামেনের রাজধানী সানায় জাতিসংঘ...

বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেন থেকে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্রভর্তি ট্রলি...

দুর্ঘটনার পর কিছু স্টেশনে মেট্রোরেল চলাচল শুরু

দুর্ঘটনার পর ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়ে...

এক এনআইডিতে সাত সিমের সীমানা নির্ধারণ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তির নামে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশনের সংখ্...

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত একজন

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং...

খরচ কমাতে জাইকা পর্যালোচনা

ঢাকার মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয় ভারতের পাটনা, পুনে ও ইন্দোরের তুলনায় প্রায় পাঁচগ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা