নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্ক সকল বয়সের পরিধানকারীকে সুরক্ষা দেয় বলে জানিয়েছে মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
নতুন একটি নির্দেশিকায় সিডিটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে ভালভ বিহীন কয়েক স্তরের কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের সুপারিশ করেছিল।
এক বিবৃতিতে সিডিসি বলেছে, এ মাস্কগুলো লক্ষণযুক্ত ও লক্ষণহীন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করে এবং বাতাসে থাকা ড্রপলেটগুলো আটকে দিয়ে পরিধানকারীকেও রক্ষা করতে সহায়তা করে। ধারাবাহিক ও সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করলে প্রত্যেক পৃথক ব্যক্তির প্রতিরোধ সুবিধা বৃদ্ধি পায় এবং এটা সামগ্রিকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
মাস্ক সংক্রমিত ব্যক্তির ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়তে বাধা দিয়ে কেবল অন্যদের রক্ষা করে, এমন আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে সিডিসি। সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, গান, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে উৎপাদিত ড্রপলেটের মাধ্যমে কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
বিবৃতিতে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থাটি বিভিন্ন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছে, কাপড়ের মাস্কগুলো ৮০ শতাংশেরও বেশি ড্রপলেট আটকে দিতে পেরেছে। কিছু গবেষণায় কাপড়ের মাস্কগুলো সার্জিক্যাল মাস্কগুলোর মতো কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
যদিও বিভিন্ন মাস্কের কার্যকারিতা গবেষণা ভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কাপড়ের একাধিক স্তর ও ঘন বুননের মাস্ক কম স্তর ও হালকা বুননের মাস্কের তুলনায় ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে। আবার পলিপ্রোপিনের মতো কিছু উপকরণ কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটা আদ্র্য ড্রপলেটগুলো আটকে দিতে পারে এবং সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস ও আরাম বজায় রাখতে পারে।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেইজিংয়ের ১২৪ পরিবারে সংক্রমিতের লক্ষণ প্রকাশের আগে সর্বজনীন মাস্ক ব্যবহার ৭৯ শতাংশ সংক্রমণ হ্রাস করেছিল।
বিবৃতিতে সিডিসি জানিয়েছে, সর্বজনীন মাস্ক ব্যবহারের নীতি গ্রহণ ভবিষ্যতের লকডাউনগুলো এড়াতে সহায়তা করতে পারে। বিশেষ করে সর্বজনীন এ মাস্ক ব্যবহার যখন সামাজিক দূরত্ব, হাতের স্বাস্থ্যবিধি ও পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের স্থানে যোগাযোগ করার মতো বিধিগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়।
সান নিউজ/এসএ